বিয়ে আল্লাহর বিশেষ নেয়ামত ও হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। ইসলামি শরিয়তের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিধান বিয়ে। আদর্শ পরিবার গঠন, চারিত্রিক অবক্ষয় রোধ ও ধর্মীয় এবং সামাজিক স্বীকৃতিতে মানুষের জৈবিক চাহিদা পূরণের অনুপম এক হাতিয়ার বিয়ে। মুসলিম আইনে বিবাহের আইনগত গুরুত্ব, সামাজিক ও ধর্মীয় মর্যাদা বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হয়।
একটি ছেলে ও মেয়ের সংসারধর্ম পালনের লক্ষে, ধর্মীয় ও সামাজিক সুরক্ষা দিতেই বিবাহ প্রথার জন্ম। মুসলিম আইন অনুযায়ী বিয়ে হলো একটি দেওয়ানি চুক্তি (কনট্রাক্টচুয়াল অ্যাগ্রিমেন্ট ফর সিভিল ন্যাচার)। কিন্তু, অনেকে তরুণীকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করে থাকেন। এভাবে বিয়ে করা যাবে কি?
ইসলামী শরিয়তে ছেলে এবং মেয়ে দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে তোলার একমাত্র পদ্ধতি হচ্ছে বিয়ে। বিয়ের পূর্বে প্রেম-ভালোবাসার সম্পর্ক শরিয়তের দৃষ্টিতে বৈধ নয়।
হজরত মুহাম্মদ (সা.) দ্ব্যর্থহীনকন্ঠে ঘোষণা করেছেন, বিবাহ আমার সুন্নত। যে আমার সুন্নত থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় সে আমাদের দলভুক্ত নয়। (সুনানু ইবনি মাযাহ, হাদিস নং-১৯১৯) রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘অভিভাবক ছাড়া বিয়ে সংঘটিত হয় না।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১১০১; আবু দাউদ, হাদিস : ২০৮৩)
বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ জানান, বিয়েতে অবশ্যই মেয়ের অভিভাবকের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। পরবর্তীকালে যদি অভিভাবক মানে, তাহলে বিয়ে বৈধ হয়েছে। তবে, অভিভাবকের অমতের কারণে প্রথমে যে বিয়েটা হয়েছে, সেটা অবৈধ ছিল। এটা নিয়ে সন্দেহ নেই। পরে অভিভাবক অনুমোদন দেওয়ার পর বিয়ে বৈধ হয়েছে।
এসব নিয়ে আসলে আমাদের ভাবা উচিত। কারণ, যে পরিবার আমাদের বড় করল, লালন-পালন করল, তাদের মত না নিয়েই আমরা বিয়ে করে ফেললাম। এমন বিয়েতে নানারকম সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। এমনকি এমন বিয়ে অনেক সময় টেকে না। তাই আমাদের এসব নিয়ে সচেতন হওয়া উচিত।